এম.এ আজিজ রাসেল:

উখিয়া-টেকনাফে নতুন অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতির জন্য সরকারসহ কেউ প্রস্তুত ছিলনা। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের কষ্ট লাঘবে সবাই যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করা হচ্ছে। কিন্তু এই সাহায্য তেমন কাজে আসবে না তাদের। তাই পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করতে হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আইওএম এর মিডিয়া সমন্বয়কারী ক্রিস লোম উপরোক্ত অভিব্যক্তি তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, এই মুহুর্তে রোহিঙ্গাদের একত্রে করতে হবে। তাদের এখন বেশি প্রয়োজন পানি, স্যানিটেশন, ওষুধ ও খাবার। কিন্তু অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে অপ্রয়োজনীয় ও বিশৃঙ্খলভাবে সহযোগিতা করতে রোহিঙ্গাদের। এখন তাদের কাপড় প্রয়োজন নাই। কিন্তু তাদের দেয়া হচ্ছে শীতের কাপড়সহ অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। তাছাড়া প্রধান সড়কে গাড়ি থামিয়ে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার কারণে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া। একই সাথে হামসহ নানা রোগের টিকা দেয়া হয় নাই রোহিঙ্গা শিশুদের। তাই রোগ গুলো স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে যেতে পারে। এখন সরকারী-বেসরকারিভাবে তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা উচিত। দেশের ওষুধ কোম্পানী ও প্রাইভেট হাসপাতাল গুলো রোহিঙ্গদের স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে আসলে রোগের প্রকোপ কমে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে এডশন এড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির জানান, বৃহস্পতিবার নতুন করে আরো ১০ হাজার রোহিঙ্গা এসেছে। তাদের স্থান দেয়ার মতো ক্ষমতা আর নেই। আগের রোহিঙ্গাদের স্থানীয়রা আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু নতুনরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের অবস্থা সংকটময়। তাদের পাশে পরিকল্পিত ভাবে কাজ করা প্রয়োজন। দু’একদিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের সঠিক তদারকি করতে কুতুপালং ও লেদা ক্যাম্পে দুইটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এ জন্য একটি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।